মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ - ১১:১৬
কীভাবে অন্যদের আপনার কথা শুনতে উৎসাহিত করবেন?

অন্যদের আমাদের কথা গুরুত্বসহকারে শোনাতে চাইলে আগে আমাদেরই ভালো শ্রোতা হতে হবে এবং তাদের চাহিদা ও অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। একই সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে উষ্ণতা ও ইতিবাচক আবেগ তৈরি করাও অত্যন্ত জরুরি; কারণ ভালোবাসা, সম্মান ও আস্থার পরিবেশে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে একে অপরের কথা শোনে এবং কার্যকর যোগাযোগের পথ সুগম হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: পরিবার ও দাম্পত্য–পরামর্শক হুজ্জাতুল ইসলাম রেজা ইউসুফজাদে “শোনা এবং ইতিবাচক সম্পর্কের মাধ্যমে যোগাযোগের প্রভাব” বিষয়ে যে ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন, তার সারমর্ম নিচে দেওয়া হলো:

১. মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং অন্যের চাহিদাকে সম্মান করা
আপনি যদি চান মানুষ আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুক, তবে আগে আপনাকেই তাদের কথা মনোযোগ, ধৈর্য এবং আন্তরিকতার সঙ্গে শুনতে হবে।

যখন আপনি অন্যের কথা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন, তাদের প্রয়োজনকে সম্মান জানান এবং বোঝার চেষ্টা করেন, তখন তারাও স্বাভাবিকভাবেই আপনার প্রতি একই আচরণ দেখায়।
সম্মান ও মনোযোগ—কার্যকর কথোপকথনের মৌলিক ভিত্তি।

২. ইতিবাচক আবেগিক সম্পর্ক তৈরি ও বজায় রাখা
যদি সম্পর্কের পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ, দূরত্বপূর্ণ বা নেতিবাচক হয়ে ওঠে, তবে মানুষ একে অপরের কথা শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

সাধারণত কেউই সেই ব্যক্তির কথায় সাড়া দিতে চায় না, যার প্রতি তার অভিমান, বিরূপতা বা নেতিবাচক অনুভূতি রয়েছে।

কিন্তু সম্পর্ক যখন পারস্পরিক স্নেহ, সম্মান ও সদ্ভাবের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবেই একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং পরস্পরের চাহিদাকে মূল্যায়ন করে।

সার-সংক্ষেপে, মানবিক যোগাযোগে প্রভাব বিস্তার করতে দুটি নীতি অপরিহার্য: সত্যিকারের মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং ইতিবাচক আবেগিক সম্পর্ক বজায় রাখা।

এই দুই উপাদানই মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, আস্থা ও অর্থবহ যোগাযোগ সৃষ্টি করে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha